এটা তো এখন সকলেই জানে যে, সম্প্রতি ভারতীয় রিসার্ভ ব্যাঙ্ক এর তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছে। এবিষয়ে আগামী ৩১শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্ক থেকে ২০০০ টাকার নোট বদলানোর অথবা জমা করার সময় দেওয়া হয়েছে। তবে ২০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বাজারে শুরু হয়েছে ৫০০ টাকার নোট নিয়ে জল্পনা।
ভারতীয় রিসার্ভ ব্যাঙ্ক এর ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের পরে অনেকেই অনুমান করছিলেন যে, এবার হয়তো ৫০০ টাকার নোটও তুলে নেওয়া হবে। এবিষয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সংবাদ পোর্টালে শুরু হয়েছিল নানান ধরণের জল্পনা। কোথাও বলা হচ্ছিলো ৫০০ টাকারও নোট তুলে নেওয়া হবে। আবার কোথাও বলা হচ্ছিলো যে, আবার আগের মতো ৫০০-১০০০ এর নোট আসবে।
তবে এদিন রিসার্ভ ব্যাঙ্ক এর প্রধান শক্তিকান্ত দাস এক সাংবাদিক বৈঠকে উক্ত জল্পনা গুলিকে খারিজ করেদেন। তিনি জানান যে আরবিআই এখন আপাতত ৫০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কথা ভাবছে না। এবিষয়ে তিনি আরও জানান যে বাজারে কোনও নতুন ধরণের ৫০০ টাকার নোট জারি করারও কোনো পরিকল্পনা নেই।
এদিন ৫০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কথাটি খারিজ করার পাশাপাশি শক্তিকান্ত দাস আরও জানান যে, বাজারে কোনও ১০০০ টাকার নোট আনা হবে না। তিনি এবিষয়ে জনসাধারণকে জানান যে, অযথা এই সব গুজবে পা দিতে হবে না।
এটাও পড়ুন Important Tasks: মাস শেষ হওয়ার আগেই করতে হবে এই ৩টি কাজ! নাহলেই পড়বেন বিরাট সমস্যায়
অন্যদিকে আরবিআই প্রধান শক্তিকান্ত দাস এদিন, ২০০০ টাকার নোট নিয়ে তুলে নেওয়ার বিষয়ে জানান যে, ইতিমধ্যেই প্রায় অর্ধেক ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা পরে গিয়েছে। এবিষয়ে জানানো হয়েছে যে, এখন পর্যন্ত মোট ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকার ২০০০ টাকার নোট আরবিআই এর কাছে ফিরে এসেছে।
জানিয়েদি যে, এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৩ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকার ২০০০ এর নোট বাজারে ছিল যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক টাকা ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে। এবিষয়ে শক্তিকান্ত দাস আরও জানান যে, আরবিআই এর কাছে ফিরে আসা নোট গুলির মধ্যে ৮৫ শতাংশ নোট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ফিরে এসেছে।