PM Kisan: প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার সুবিধাভোগীদের এখনই সাবধান হতে হবে, নাহোলেই বিরাট আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার অন্তর্গত মূলত গ্রাম থেকে শহর সকল ভূমি যুক্ত চাষীদের প্রতিবছর তিনটি কিস্তিতে ২০০০ টাকা করে মোট ৬০০০ টাকা প্রদান করা হয়। তবে এবার অনেকের কাছ থেকেই এই সুবিধা ছিনিয়ে নিচ্ছে সরকার।
প্রসঙ্গত বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, পিএম কিষাণ যোজনার সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়ার বদলে কমে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশের বেশকিছু রাজ্যে অর্ধেক হয়ে গেছে পিএম কিষাণের সুবিধাভোগীদের সংখ্যা। পশ্চিমবঙ্গেও বাতিল হয়েছে লক্ষ লক্ষ চাষীর পিএম কিষাণ অ্যাকাউন্ট।
জি নিউজের এক প্রতিবেদন অনুসারে শুধুমাত্র পাঞ্জাবেই প্রায় ১৫ লক্ষ চাষীর অ্যাকাউন্টে পিএম কিষাণের টাকা ঢোকা বন্ধ হয়ে গেছে। জানিয়ে রাখি যে, পাঞ্জাবে মোট ২৩ লক্ষ চাষী পিএম কিষাণে নাম নথিভুক্ত করেছিল কিন্তু এপ্রিল-জুলাই মাসে ২৩ লক্ষের মধ্যে মাত্র সাড়ে ৮ লক্ষ চাষীর পিএম কিষাণ অ্যাকাউন্ট সচল ছিল।
এটাও পড়ুন Mobile TV: এবার ইন্টারনেট ছাড়াই বিনামূল্যে মোবাইলে দেখতে পাবেন লাইভ টিভি, জেনে নিন কিভাবে
এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গেও অনেকটাই একই অবস্থা, এবছরের তথ্য এখনো না আসলেও গত বছরের তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ চাষী গত বছর পিএম কিষাণের টাকা পাননি। পিএম কিষাণ পোর্টালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০২২-২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে মার্চে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৫৩ লক্ষ ৪০ হাজার চাষীর নাম পিএম কিষাণে নাম নথিভুক্ত ছিল যার মধ্যে শুধু মাত্র ৪৩ লক্ষ ৮০ হাজার চাষীই পিএম কিষাণের টাকা পেয়েছিলো।
অন্যদিকে এপ্রিল-জুলাই এ সাড়ে ৫৩ লক্ষের মধ্যে মাত্র ৪৬ লক্ষ চাষীর অ্যাকাউন্টে পিএম কিষাণের টাকা এসেছিলো। কেন্দ্র সরকার তথা পিএম কিষাণের তরফে জানানো হয়েছে যে, কোটি কোটি চাষীর না পিএম কিষাণ থেকে ব্যাড পরে যাওয়ার পেছেনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে।
এটাও পড়ুন Onion Price: টমেটোর পর এবার পেঁয়াজের পালা, দিন দশেকের মধ্যেই নাগালের বাইরে যাবে পেঁয়াজ
যার মধ্যে মূখ্য কারণ হচ্ছে পিএম কিষাণ স্কিমের নির্ধারিত মানদণ্ড গুলির অমান্য করা। এক্ষেত্রে আপনাকে মূলত দুটি জিনিসের উপর খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে আধার কার্ড (Aadhaar Card) লিঙ্ক থাকতে হবে আর দ্বিতীয়ত আপনার পিএম কিষাণ প্রকল্পে E-KYC করা থাকতে হবে।
তবে দেশের প্রায় বেশির ভাগ চাষীর কাছে ইন্টারনেট (Internet) এবং এবিষয়ে তথ্য না থাকার কারণে তারা এই কাজ গুলি করতে ব্যার্থ হন এবং তাদের পিএম কিষাণ যোজনার টাকা বন্ধ হয়ে যাই। তবে এবার কেন্দ্রের তরফে একটি নতুন পরিষেবা চালু করা হচ্ছে যার মাধ্যমে চাষীরা তাদের পিএম কিষাণ সম্পর্কিত সমস্ত কাজ সহজেই করতে পারবেন।
এটাও পড়ুন DA Hike: পুজোর আগেই সরকারি কর্মীরা পেলেন উপহার, বাড়তে চলেছে সরকারি কর্মীদের DA
এবিষয়ে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, চাষীদের সকল ধরণের সমস্যার সমাধান করার জন্য দেশ জুড়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার পিএম কিষাণ কেন্দ্র খোলা হবে।