২০০-৫০০ টাকা দিয়ে শুরু করুন এই ব্যাবসা, ইনকাম হবে লক্ষ লক্ষ টাকা

বর্তমানে দেশের পাঁচ জনের মধ্যে প্রায় দুজন নিজের ব্যবসা শুরু করার স্বপ্ন দেখে, চিন্তাভাবনা কিভাবে শুরু করবে। তবে আপনি কিছু লোকই পাবেন যারা তাদের ব্যবসা শুরু করেতে সক্ষম হয় এবং তা সফল ভাবে করতে পারেন। এক্ষেত্রে অনেকেই ব্যবসা শুরু করার আগেই মূলধনের জন্য হার মেনে নেন। তবে আজ আমরা আপনাদের জন্য এমন একটি বিজনেস আইডিয়া নিয়ে এসেছি যেখান থেকে আপনি কম মূলধন দিয়ে বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। আমরা এখানে মূলত চন্দন চাষের কথা বলছি।

Start sandalwood farming business with 200-500 rupees

দীর্ঘমেয়াদী ব্যাবসার পরিকল্পনা

আপনি চন্দন চাষ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন, তবে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যাবসার পরিকল্পনা। কারণ চন্দন গাছ থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে ভাল ধরণের মুনাফা করতে গেলে আপনেকে একটি গাছকে 10-15 বছর ধরে প্রস্তুত করতে হবে। অন্যদিকে সনাতন পদ্ধতিতে চন্দন চাষ করলে ২০-২৫ বছর সময় লাগতে পারে। তবে এক্ষেত্রে মুনাফার পরিমানটাও বেশি হয়। চন্দন কাঠ চাষ একটি দীর্ঘমেয়াদী চাষ হওয়ার কারণে আপনি ইতিমধ্যেই তেমন কোনো মুনাফা পাবেন না।

sandalwood farming

এটাও পড়ুন বাজেট গাড়ির বাজারে রাজ করতে আসছে Mahindra XUV300, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং লুক দেখেই চমকে উঠবেন

কোন ধরণের চন্দন গাছ লাগাবেন?

চন্দন কাঠ মূলত লাল এবং সাদা/হলুদ রঙের হয়। যেখানে লাল চন্দন দক্ষিণ ভারতে চাষ করা হয়, উত্তর ভারতে সাদা চন্দন চাষ করা হয়। সাদা চন্দনের ক্ষেত্রে খুব বেশি আর্দ্রতার প্রয়োজন হয় না। সেই সাথে চন্দন গাছের একটি বিশেষ বিষয় হল যে এটি ৩ থেকে ৪ ফুট দূরে দূরে রোপন করতে হয়। এইরকম না করলে আপনার গাছ সঠিক ভাবে পুষ্টি পাবে না এবং সময়ে বড় হবে না। তবে আপনি গাছ দুটির মাঝখানে অন্য গাছ অথবা ফসল চাষ করতে পারেন।

এটাও পড়ুন Realme ফোনের 200MP ক্যামেরার ছবি টক্কর দিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার DSLR কে, ছবির কোয়ালিটি দেখে ভিড় পড়েছে দোকানে

কত বিনিয়োগ করতে হবে?

sandalwood farming business

চন্দন চাষ করে প্রচুর লাভ পাওয়া যায়। তবে এখন আপনার প্রশ্ন হবে যে, কত বিনিয়োগ করতে হবে। এবিষয়ে জানিয়েদি যে,বাজারে একটি ২ থেকে ২.৫ বছরের চন্দন গাছ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় পাওয়া যাবে৷ অন্যদিকে, এই গাছটি যখন ১০-১৫ বছর পর বোরো হবে অর্থাৎ কাটার উপযুক্ত হবে তখন আপনি একটি গাছকে বিক্রি করে ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার কাছে যদি ঠিক-ঠাক আকারের জমি থাকে তাহলে আপনাকে তেমন কিছু বিনিয়োগ করতে হবে না।

Author
টিম বাংলারশিক্ষা

Leave a Comment