কালো ধান চাষ করলেই পাবনা সোনা ব্যাবসায়ীর মত লাভ, কম খরচে ধনী হওয়ার সুযোগ রয়েছে কৃষকদের কাছে। দেশে প্রতিবছর ব্যাপক হারে ধান চাষ হয়, কিন্তু বাম্পার উৎপাদন ও অধিক আয়ের জন্য কোন জাতের ধান ব্যবহার করতে হবে তা অনেক কৃষকই জানেন না। কৃষকরা বর্তমানে কালো ধান চাষ করে ভালো লাভ করতে পারেন। সাদা ধানের চাষে সমান পরিশ্রমও করেই মোটা টাকা কামাতে পারেন চাষীরা।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড় রাজ্যের কৃষকরা কালো চালের চাষ করেন। যার কারণে এখানকার কৃষকরা ভালো মুনাফা পাচ্ছেন, সাদা ধানের চেয়ে কালো ধানে বেশি পুষ্টি রয়েছে। কালো ভাত খেলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কালো চালে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। যা শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
আমরা আপনাকে বলি যে মে মাসটি কালো ধান চাষের জন্য সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়, যে কোনও মাটিতে এর চাষ সম্ভব। গ্রীষ্মকাল এ ধান চাষের উপযোগী। বিশেষ বিষয় হলো ফসল লাগানোর পর সাদা ধানের চেয়ে কালো ধানের উৎপাদন বেশি হয়। এমতাবস্থায় কৃষক ভাইয়েরা চাষ করে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন।
আমরা আপনাকে বলি রাখি যে, কালো চাল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, এতে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি1, বি2, বি3, বি6 এবং ফলিক অ্যাসিড (বি9) প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়াও কালো চালে ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, সোডিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। যা হাড়ের সুরক্ষা, রক্ত গঠনে সহায়ক। অর্থাৎ কালো চাল স্বাস্থ্যের জন্য সাদা চালের চেয়ে বহুগুণ বেশি উপকারী। এবং এর জন্যেই এর দাম অন্যান্য চালের থেকে বেশি হয়।
এখন আপনিও যদি কালো ধান চাষ করেন, তাহলে এর চাষ থেকে ভালো লাভ পাবেন। কারণ বাজারে এক কেজি কালো চালের দাম প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। যেখানে প্রতি কেজি সাদা চাল সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়। এ থেকে অনুমান করা যায় কালো ধান চাষ করে কৃষকরা বছরে কতটা লাভবান হতে পারে।